বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তুমব্রু শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।
গোলাগুলির ঘটনায় শুক্রবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজারস্থ বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তুমব্রু সীমান্তে বর্ডার পিলার ৩৫ এর বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। গোলাগুলির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানকালে গুলি বিনিময় হয়েছে। কিন্তু সীমান্তের কাছাকাছি কোনো অভিযান হলে এটা বিজিবিকে জানানোর কথা। কিন্তু তারা অবহিত না করায় শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তের কাছাকাছি যেহেতু গোলাগুলি হয়েছে; সেহেতু শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে তো আতঙ্ক বিরাজ করবেই। তারপরও রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি প্রস্তুত আছে।’
২০১৭ সালের ২৪ আগস্টের পর থেকে তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় কোনারপাড়ায় ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পরিবার বাস করছে।